নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট ও মৌলভীবাজারে পৌষের শীতে হানা দিয়েছে বৃষ্টি। এ দুই জেলায় শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশও সকাল থেকে ছিল মেঘলা।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির মধ্যে কোথাও রোদের দেখাও পাওয়া যায়নি। দুপুরে রোদের আভা কিছুটা দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর আকাশ ফের মেঘলা হয়ে যায়। গুমোট আবহাওয়া, ঠান্ডা বাতাস এবং তীব্র শীতে জবুতবু মানুষ।
সিলেটে শুক্রবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম মাসুম বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সেখানে ৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় কারণে কুয়াশার চাদর সরে যেতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রাত থেকে। বৃষ্টির ফলে যেমন চায়ের উপকার আছে, তেমনি অপকারও আছে। কারণ আজ বৃষ্টি হলো কাল যদি বৃষ্টি না হয়ে রোদের দেখা না মিলে তাহলে চায়ের জন্য ক্ষতিকর।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, বৃষ্টির ফলে কিছুটা শীতকালীন ফসলের উপকার হয়েছে। বিশেষ করে বোরো চাষে কাজে আসবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ একেবারে কম। এতে আলু চাষীরা বৃষ্টির পরে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।